মৃত্যুর পরও জীবন্ত নেতা ১৯৮৩ সালে লারমা নিহত হলেও তাঁর নাম আজও পাহাড়ি রাজনীতিতে অমর। প্রতি বছর ১০ নভেম্বর তাঁর মৃত্যুবার্ষিকীতে রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবানে মানুষ মোমবাতি জ্বালায়, সমাবেশ করে। একজন বৃদ্ধা নারী এক স্মরণসভায় বলেছিলেন—“লারমা ছিল আমাদের মাটি, আমাদের ভরসা। ও চলে গেছে, কিন্তু ওর কথা আজও আমাদের কানে বাজে।” লার্মার দর্শনের শক্তি লারমা শিখিয়েছিলেন—…
Jumjournal
August 31, 2025
লড়াইয়ের দুই দশক এম এন লারমা নিহত হওয়ার পর তাঁর ছোট ভাই জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা (সন্তু লার্মা) PCJSS–এর নেতৃত্ব নিলেন। ১৯৮০–৯০ দশকে পাহাড়ে সংঘাত ভয়াবহ আকার ধারণ করল। গ্রামে গ্রামে গেরিলা যুদ্ধ, সেনাবাহিনীর অভিযানে অসংখ্য প্রাণহানি। হাজারো পরিবার বাস্তুচ্যুত হয়ে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতের ত্রিপুরায় শরণার্থী হয়ে রইল। পাহাড়ি জনগণের জীবনে তৈরি হলো দীর্ঘ আতঙ্কের রাত।…
Jumjournal
August 31, 2025
ভেতরের বিরোধ দীর্ঘদিন গোপন লড়াই চালাতে গিয়ে PCJSS–এর ভেতরেও মতভেদ বাড়তে লাগল। কেউ চাইত সশস্ত্র সংগ্রাম আরও তীব্র হোক। কেউ চাইত রাজনৈতিক সমঝোতার পথ খোলা থাকুক। আবার কেউ লার্মার নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলতে লাগল। এই বিভাজন ধীরে ধীরে মারাত্মক আকার নিল। ১৯৮২ এর ভাঙন ১৯৮২ সালে PCJSS ভেঙে কয়েকটি অংশে বিভক্ত হলো। এর মধ্যে একটি…
Jumjournal
August 31, 2025
বাকসাল, আন্ডারগ্রাউন্ড ও এক নেতার দ্বন্দ্ব বাকসালের প্রেক্ষাপট ১৯৭৪–৭৫ সময়টা বাংলাদেশের জন্য ছিল ভয়াবহ অস্থিরতার। দুর্ভিক্ষ, রাজনৈতিক অস্থিরতা, এবং বিরোধী দলগুলোকে দমন করার কৌশল হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৫ সালে ঘোষণা করলেন বাকসাল (বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ)—একদলীয় শাসনব্যবস্থা। এই নতুন ব্যবস্থায় সব রাজনৈতিক দলকে ভেঙে বাকসালে যোগ দিতে বাধ্য করা হলো। এম এন…
Jumjournal
August 31, 2025
চার দফা দাবি সরকার মানেনি। সংবিধানে পাহাড়িদের জন্য আলাদা কোনো স্বীকৃতি এল না। ফলে পাহাড়ি সমাজে আস্থাহীনতা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ল। লারমাতখন বুঝলেন—সংগঠন ছাড়া অধিকার আদায় সম্ভব নয়। তাই তিনি গড়ে তুললেন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (PCJSS)। পিসিজেএসএস গঠনের গল্প ১৯৭২ সালের ফেব্রুয়ারি থেকেলারমা গোপনে পাহাড়ি গ্রামগুলোতে ঘুরতে শুরু করেন। তিনি যুবকদের ডাকলেন—“আমরা যদি এক না…
Jumjournal
August 31, 2025
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ শেষ হওয়ার পর বাংলাদেশ নতুন রাষ্ট্র হিসেবে জন্ম নিল। চারদিকে স্বাধীনতার উল্লাস, নতুন সংবিধান তৈরির ব্যস্ততা। কিন্তু পাহাড়ি মানুষের চোখে তখনো কাপ্তাই বাঁধের ক্ষত শুকায়নি। এই প্রেক্ষাপটেই এম এন লারমা বুঝলেন—যদি এখনই পাহাড়িদের অধিকার সাংবিধানিকভাবে নিশ্চিত না করা যায়, তবে ভবিষ্যতে সমস্যা আরও তীব্র হবে। তাই তিনি একদিন কলম তুলে নিলেন। লিখলেন…
Jumjournal
August 31, 2025
১৯৭০ সালের নির্বাচন। পাকিস্তানের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণতান্ত্রিক নির্বাচন। পাহাড়ি মানুষের পক্ষে প্রাদেশিক পরিষদের আসনে দাঁড়ালেন এম এন লার্মা। তিনি ছিলেন তখন তরুণ, সাহসী, এবং মানুষের আস্থাভাজন। ভোট হলো, ফলাফল এলো—লারমা জয়ী।স্বাধীনতার পর ১৯৭৩ সালে আবার জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দাঁড়ালেন। পার্বত্য চট্টগ্রাম–১ আসন থেকে তিনি হলেন সংসদ সদস্য। সংসদে প্রথম ভাষণ নতুন বাংলাদেশের সংসদে দাঁড়িয়ে তিনি…
Jumjournal
August 31, 2025
কাপ্তাই বাঁধের পর বাস্তুচ্যুত পাহাড়ি মানুষের চোখে যখন হতাশা আর ক্ষোভ জমে উঠছে, তখন তরুণ লারমা বুঝলেন—শুধু আক্ষেপ করলে হবে না। সংগঠিত হতে হবে। ১৯৬৩ সাল। চট্টগ্রাম পাহাড়ে পাহাড়ি ছাত্ররা একত্র হয়ে তৈরি করল পাহাড়ি ছাত্র সমিতি। উদ্দেশ্য—শিক্ষা, অধিকার, এবং ভূমি রক্ষার দাবি তোলা। এই সমিতির অন্যতম সক্রিয় মুখ ছিলেন লার্মা। একদিন রাঙামাটি বাজারে ছাত্রদের…
Jumjournal
August 31, 2025
১৯৬০ দশকের শুরুতে কর্ণফুলীর বুকে তৈরি হলো বিশাল কাপ্তাই বাঁধ। রাষ্ট্র বলল—“বিদ্যুৎ আসবে, উন্নয়ন আসবে।” কিন্তু উন্নয়নের এ গল্প পাহাড়ি মানুষের জীবনে নেমে এল দুঃস্বপ্নের মতো। ডুবে যাওয়া গ্রাম হাজার হাজার একর জমি, শত শত গ্রাম—সবই ডুবে গেল পানির নিচে। প্রায় ১ লক্ষ মানুষ গৃহহীন হলো। অনেক পরিবার ছিন্নভিন্ন হয়ে সীমান্ত পাড়ি দিল, কেউ গেল…
Jumjournal
August 31, 2025
নানিয়ারচরের মহাপুরম গ্রাম—একটি নিভৃত পাহাড়ি জনপদ। চারপাশে সবুজ পাহাড়, মাঝে মাঝে কর্ণফুলীর স্রোত। গ্রামে তখন বিদ্যুৎ নেই, রাস্তাঘাটও কাঁচা। সন্ধ্যা নামলেই কুপি–বাতির আলোয় গ্রামের উঠোন ভরে যেত। এই গ্রামেই ১৯৩৯ সালে (কিছু সূত্রে ১৯৪১) জন্ম নিলেন মানবেন্দ্র নারায়ণ লার্মা। তাঁর পরিবার ছিল সাধারণ চাকমা পরিবার, কিন্তু মা–বাবা দুজনেই ছিলেন শিক্ষাপ্রেমী। বাবা চিত্ত কিশোর চাকমা গ্রামের…
Jumjournal
August 31, 2025
©Jumournal-2025
M. N. LARMA
BACK TO TOP